সোমবার রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতোয়া নদীতে টাকা ভাসার খবর ভাইরাল হয়। খবরটি প্রচার হলে কৌতুহলী মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। অনেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে শহরের করতোয়া নদীর রেলসেতু ও ফতেহআলী সেতুর মাঝামাঝি এলাকায় বিপুল সংখ্যক জনগণকে ভিড় করতে দেখা যায়। অনেকে টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে নদী থেকে কত টাকা পাওয়া গেছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
শহরের নারুলীর মোশাররফ, উত্তর চেলোপাড়ার চন্দন কুমার, দক্ষিণ চেলোপাড়ার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, কাইল্যা নামে এক ব্যক্তি করতোয়া নদীতে টাকা ভাসতে দেখেন। কাইল্যা প্রথমে নদী থেকে টাকা সংগ্রহ করে চলে যায়। সে খবরে তারাও নদীতে নেমে টাকা সংগ্রহ করেন। ওই এলাকার রহিম উদ্দিন, মাহবুর রহমান, সফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে কে বা কারা টাকা ফেলে গেছে তারা তা জানেন না। তবে তারা জানতে পেরেছেন, নদীতে প্রায় সাত হাজার টাকা পাওয়া গেছে।
কেউ বলছেন, কোন কালো টাকার মালিক নদীতে টাকা ভাসিয়ে দিয়েছে। আবার কেউ বলছেন, লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নদীতে টাকা ফেলেছেন। আবার কেউ বলছেন, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জুয়াড়িরা নদীতে টাকা ফেলে পালিয়েছে।
রাত ১১ টার দিকে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় রেল সেতুর ওপর দিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় বা কোন পথচারীর কাছ থেকে অসাবধানতাবশত টাকা নদীতে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তার জানামাতে ৩শ’ টাকার মতো নদীতে পাওয়া গেছে। নদীতে টাকা ভাসার খবরটি নিছক গুজব।