বাবা-চাচাসহ তিনজন তুহিনকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে: পুলিশ

তুহিনসুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হাসানকে তার বাবা, চাচা ও এক চাচাতো ভাই মিলে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তারা। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু তাহের মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাতের আঁধারে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়।

খবর পেয়ে সোমবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা আব্দুল বাছির ও তার তিন চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল, চাচি খয়রুন বেগম ও চাচাতো বোন তানিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ খুনের কারণ ও খুনিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

আরও পড়ুন- 

তুহিন হত্যাকাণ্ডে ১০ জনকে আসামি করে মামলা

‘এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড কেজাউড়াবাসী এর আগে দেখেনি’

তুহিন হত্যাকাণ্ডে পরিবারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে: সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার

গাছের সঙ্গে ঝোলানো শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ