দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন চত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে মুরাদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান উপাচার্যের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সেটি তদন্ত করুন। যারা জাহাঙ্গীরনগরকে বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করছে আপনি তাদের পক্ষ অবলম্বন করুন। তদন্ত কমিটি চাওয়া হয়েছে আপনাকে অপমানিত করার জন্য নয়, আপনার স্বচ্ছতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য আরেকটি পক্ষ দাঁড়িয়েছে যারা আপনার পক্ষের কথা বলছে। মূলত তারা আপনার বিরোধী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘উপাচার্য স্বৈরাচারী আচরণের এমন সব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা আগের সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। যারা টাকা পেয়েছে তারা স্বীকার করছে কিন্তু উপাচার্য বারংবার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমরা এই উপাচার্যকে আর দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হারেস ভুঁইয়া বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধের আন্দোলনকে আদর্শিক ও নৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে উপাচার্যের সাফাই গাওয়ার জন্য নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এটা দিয়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না।’
এ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘প্রয়োজনের তাগিদেই গণজাগরণ হয়, আজকে এখানে তাই লক্ষ করা যাচ্ছে। এই গণজাগরণ প্রমাণ করে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হচ্ছে তা একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।’
উপাচার্যের সমর্থক আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা আসুন, দেখুন কত মানুষ আমরা এখানে একত্র হয়েছি। এই সমাবেশ প্রমাণ করে আপনাদের আন্দোলন যৌক্তিক নয়। তাই আসুন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আন্দোলন না করে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করি এবং উন্নয়নের পক্ষে থাকি।’
সমাবেশে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’ প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।