১২ বছর বয়সী ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে তার বাবা বাদি হয়ে চাটখিল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে সেলিমকে আসামি করে মামলা করেন। একইসঙ্গে মামলা না করতে হুমকি দেওয়ায় ধর্ষকের ছেলে আরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় মামলা করেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা ও পরিবারের লোকজন পাশের বাড়িতে ধান শুকাতে গিয়েছিল। এ সময় মেয়েটি ঘরে একা ছিল। সুযোগ বুঝে ভিকটিমের বাবার বন্ধু ও প্রতিবেশী সেলিম তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে সে বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ির লোকজন শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে আসলে ধর্ষক দরজা খুলে পালিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে সেলিম ও তার ছেলে আরাফাতসহ কয়েকজন থানায় অভিযোগ না দিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। তাই মামলা করতে দেরি হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত পিতা ও পুত্রকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মেডিকেল পরিক্ষার জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ১২ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।