বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও শেফালী বেগম নামের আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই জেলায় রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে নতুন আক্রান্ত আরও ৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস মোল্লার ছেলে। অন্যজন বরগুনার বেতাগী উপজেলার শেফালী বেগম, মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বরগুনায় ডেঙ্গু রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতি ঘরেই রয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। অসুস্থ বা মৃতের সঠিক তালিকা নেই কারও কাছে। সরকারি হাসপাতালে যে রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার থেকে তিনগুণের বেশি চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে।
সোমবার বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে আমতলীতে ১, বেতাগী ১, বামনা ৩, তালতলী ১ ও পাথরঘাটায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ জন।
বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০৬ জন। এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ হাজার ৩১৬ জন। এ ছাড়া বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৬ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বরগুনার বাহিরে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ২৫ জন। সবমিলিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩১ জন।
এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। তবে যারা রেফার্ড নিচ্ছেন বা বেসরকারি ক্লিনিকে টেস্ট করাচ্ছেন তাদের রিপোর্টগুলো যদি যোগ হতো তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তো। এ বিষয়ে আমাদের কেহ সহযোগিতা করছেন না। এ সময় তিনি স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জেলাজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং মশা নিধন কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান।