হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নানিকে হত্যার পর পুলিশের কাছে নাতির আত্মসমর্পণ

নরসিংদীনরসিংদীর মাধবদীতে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় নাতি পলাশ মিয়া (১৭) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার নানি ফুলমালা বেগমকে (৬০)  হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর  পুলিশকে ফোন করে আত্মসমর্পণ করে পলাশ। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার কুড়েরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ফুলমালা কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী। অভিযুক্ত পলাশ পার্শ্ববর্তী স্বর্পনিগৈর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর ফুলমালা বেগম (৬০) তার মেয়ের ঘরের নাতি পলাশ মিয়াকে নিজের কাছে এনে স্কুলে ভর্তি করান। নানির কাছে থেকেই মাধ্যমিক পাস করে এখন কলেজে পড়ছে পলাশ মিয়া।

বৃহস্পতিবার বেশি রাত করে বাড়ি ফেরায় নানি পলাশকে বকাঝকা করেন। এ সময় রাতের খাবার দিতে একটু দেরি হওয়ায় পলাশ তার নানির পিঠে ঘুষি দেয়। এতে নানি ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশকে লাথি মারেন। এরপর পলাশ হাতুড়ি নিয়ে নানি ফুলমালার মাথা ও মুখে আঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পলাশ নিজেই ফোনে পুলিশকে ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার এবং পলাশকে গ্রেফতার করে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘ভাত দিতে দেরি হওয়ায় নানি ও নাতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশ হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে নানি ফুলমালাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’