হিলি রেলস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি হিলি স্টেশনে কর্মরত মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যানকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এই রেলস্টেশনকে ক্লোজিং ডাউন করে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই ক্লোজিং ডাউন অবস্থায় চলছিল ঐতিহ্যবাহী হিলি রেল স্টেশনের কার্যক্রম। এই স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বিরামপুর ও পাঁচবিবি রেল স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো সব ধরনের কার্যক্রম। ট্রেন ইচ্ছেমতো হিলি রেলস্টেশনে এসে প্লাটফর্মে না দাঁড়িয়ে ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আবার নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে যেত। টিকেট বিক্রিসহ মালামাল বুকিংসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের। বিশেষ করে হিলি থেকে রাজশাহী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা ছাত্র-ছাত্রী এবং চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণসহ নানা কারণে ভারতে যাওয়া-আসা করা যাত্রীসহ ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল।
স্থানীয় এলাকাবাসী আমজাদ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রায় দু বছরের মতো হিলি রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার কারণে কোনও টিকিট বিক্রি হতো না, এ কারণে সিট পেতেন না এখানকার যাত্রীরা। যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে হতো, ট্রেন ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ানোর কারণে উঠতে সমস্যা হতো। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি ছিল চরমে।’
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্টেশনটি চালুর দাবিতে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছিল। গত ৬ অক্টোবর স্থানীয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনতার স্বাক্ষরসহ একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠনো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ হিলি রেলস্টেশনে লোকবল নিয়োগ দেওয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিগগিরই যাতে স্টেশন মাস্টারসহ অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় আমরা সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, স্টেশনটি নিয়ে এলাকাবাসীর অন্য দাবিগুলো পূরণে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।