যুবককে মারধর ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম যশোরের খাজুরায় হাবিবুর রহমান (২৩) নামে এক যুবককে মারধর ও মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে হাবিবুরের বাবা যশোর প্রেসক্লাবে অভিযুক্ত খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।  তবে,  রফিকুল এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন।

ওই যুবকের বাবা যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ইন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারের ফুটপাথে তিনি হোটেল ব্যবসা করেন। দারিদ্র্যের কারণে স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই কাজ করেন। গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার পথে এসআই রফিকুলের নির্দেশে এএসআই হযরত আলী তার ছেলে হাবিবুরকে আটক করেন। এরপর ক্যাম্পে নিয়ে তাকে বেদম মারপিট এবং তার হাতে ৫০ পিস ইয়াবা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী হিসেবে চালান দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, মাস তিনেক আগে পাশের ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটনের কাছ থেকে তিনি কম দামে পুরনো একটি সোফা সেট কেনেন। সেদিন রাতেই হঠাৎ খাজুরা ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ফোন দিয়ে তাকে ক্যাম্পে ডেকে পাঠান। তিনি যেতে রাজি না হওয়ায় এসআই তাকে ওই সোফা নিতে নিষেধ করেন। সোফা রফিকুল নেবেন জানিয়ে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে তাকে নিষেধ করেন। এরপর তিনি (শহিদুল) দোকান থেকে ওই সোফা বাড়ি নিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হন রফিকুল। পরে তার ছেলেকে খাজুরা বাজারের পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পরদিন সকালে ক্যাম্পে গেলে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– হাবিবুরের মা পারুল বেগম, ভাই মাহাবুবুর রহমান ও জিসান হোসেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাবিবুরকে মুক্তি দিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম বা তার ছেলেকে আমি চিনি না। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনও সত্যতা নেই। তাছাড়া যেদিন তার ছেলেকে আটক করা হয়, সেদিন আমি ঘটনাস্থলেও ছিলাম না। টুআইসি (হযরত আলী) তাকে দু’পিস ইয়াবাসহ আটক করেন। পরে ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও কিছু ইয়াবার সন্ধান দেয়।’