এর আগে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মালামাল কেনায় দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ ঘটনার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালালউদ্দিন বাদী হয়ে দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হক ও হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন– রাজধানীর ২৫/১ তোপখানা রোডের বেঙ্গল সায়েন্টেফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির কর্ণধার ঠিকাদার মো. জাহের উদ্দিন সরকার, তার ছেলে মো. আহসান হাবিব, জাহের উদ্দিনের বাবা মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার হাজী আবদুস সাত্তার সরকার এবং তার ভগ্নিপতি ইউনিভার্সেল ট্রেড করপোরেশনের কর্ণধার মো. আসাদুর রহমান, জাহের উদ্দিন সরকারের নিয়োগ করা প্রতিনিধি কাজী আবু বকর সিদ্দিক ও মহাখালী নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম আবদুল কুদ্দুস।
আসামি ডা. তৌহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, জাহের উদ্দিন সরকার, হাজী আবদুস সাত্তার, আসাদুর রহমান ও আবদুল কুদ্দুসসহ ছয়জন নিম্ন আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। বাকি দুজন আহসান হাবিব ও কাজী আবু বকর সিদ্দিক পলাতক রয়েছেন।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু জানান, এ মামলার আসামি স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা থাকার পর মঙ্গলবার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত জামিন নিতে গেলে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।