রেলওয়ের সব জমি উদ্ধারের পর অপ্রয়োজনীয় জায়গা ব্যবহারে টেন্ডার: রেলমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনঅবৈধভাবে দখল করে রাখা রেলওয়ের সব জমি অচিরেই উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।  তিনি বলেছেন, ‘রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে রাখার অধিকার কারও নেই। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের সংস্কার এবং উন্নয়ন কাজের জন্য সব জমি অবৈধ দখলমুক্ত করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসবে। রেলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের পর অতিরিক্ত জায়গা ব্যবহারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে। যদি কারও প্রয়োজন হয় তারা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে। তবে স্থানীয় প্রভাব বা রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে আর্থিক লাভবান হবে, সেটা করতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরে রেলওয়ের প্রধান দুটি স্টেশনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, ‘সরকারি কোনও সংস্থারও যদি রেলের জমি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়মতান্ত্রিক ও বৈধভাবে তা নিতে হবে। জবরদখল করে রেলের জায়গা কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে দখল করে রাখা সব স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।’নারায়ণগঞ্জে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন

রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে দেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন করতে নানা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জ হয়ে যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত ডাবল রেললাইন, পদ্মা লিংক এবং হাইস্পিড ট্রেনসহ বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের কাজ চলছে।’

এর আগে রেলমন্ত্রী নগরীর চাষাঢ়ায় রেলস্টেশন সংলগ্ন ডাবল রেললাইন প্রকল্পের চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। কাজের ধীরগতির জন্য তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেগুলো সম্পন্ন করতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রী শহরের কালিরবাজার এক নম্বর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে এটি আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনার কথাও সাংবাদিকদের জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সামসুজ্জান, অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুর রহমান, বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।