আইন আর মোবাইল কোর্ট দিয়ে নিরাপদ খাদ্য সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারআইন আর মোবাইল কোর্ট দিয়ে নিরাপদ খাদ্য সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ভেজাল কোনটা সেটা যতদিন ভোক্তারা না জানবে, জনগণ যতদিন ভেজাল খাবার পরিত্যাগ না করবে, ততদিন শুধু অভিযান করে সফলতা আসবে না। দেশে ৪৮০ সংস্থা ও ৭১টি আদালত আছে। জনগণকে নিরাপদ খাবারের ব্যাপারে সচেতন করতে তাদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। নিরাপদ খাবারের বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার উপায় বের করতে হবে। পাশাপাশি মানবস্বাস্থ্য ধ্বংসকারী কোনও কিছু খাদ্যে দেবো না এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে খাদ্য শিল্পের মালিক-শ্রমিক সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীর মোটেল সৈকত আয়োজিত এক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা’ শিরোনামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘এক সময় মঙ্গা ছিল। পান্তা খেয়ে আমাদের দিনানিপাত করতে হয়েছে। এখন খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করেছি। আমাদের দেশ খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, বরং উদ্বৃত্ত খাদ্য তৈরি হচ্ছে।’

কর্মশালায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতর পরিচালক সৈয়দা সরোয়ার জাহান প্রমুখ।

আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘২০০৮ এর বাংলাদেশ আর ২০১৯ সালের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। শুধু মোবাইল কোর্ট বা সরকারের একক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। মানুষ সচেতন হলে  বা ভোক্তারা সচেতন হলে যারা অতি মুনাফার জন্য ব্যবসা করছেন, খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছেন তাদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’ তিনি এসময় প্রশ্ন করেন, ‘খাবার নিরাপদ না হলে আমাদের গড় আয়ু বাড়ল কীভাবে?’ ম্যাজিস্ট্রেট স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এত বিশাল সংখ্যক খাবারের দোকানে অভিযান চালানো সম্ভব নয়।’