পদ্মায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষ: আরও তিন মরদেহ উদ্ধার

মাছ ধরা নৌকাশরীয়তপুরে জাজিরায় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করার সময় দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার জাজিরার ঝিনু মার্কেট এলাকায় দুটি স্পিডবোটের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিনই একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা নিহতরা হলেন-জাজিরার পূর্বনাওডোবা কাদির মোড়লেরকান্দি গ্রামের আব্দুল মান্নান (৫৫),  মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার উত্তর জমিলদিয়া গ্রামের বাচ্চু মাদবর (৩৫) ও ভোলার মনপুরা উপজেলার সেনারচর গ্রামের নিয়াজ উদ্দিন (৩৫)। বৃহস্পতিবার বিকালে ও সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি এলাকার পদ্মা নদী থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করে জেলেরা। মাছ ধরার কাজে ইঞ্জিনচালিত নৌকার পাশাপাশি দ্রুত গতির স্পিডবোটও ব্যবহার করা হয়। বুধবার জাজিরার ঝিনু মার্কেট এলাকায় মাছ ধরার সময় নীল চাঁন ফকির ও কিনান খার স্পিডবোটের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নীল চাঁন ফকিরের স্পিডবোটে থাকা জেলে স্বপন মোল্যা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মান্নান বেপারি নামে একজন নিখোঁজ থাকার কথা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল ও সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি এলাকা থেকে আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মাদবর ও নিয়াজ উদ্দীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাজিরা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বুধবার মাছ ধরার সময় দুটি স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার আরও তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তবে আর কেউ নিখোঁজ আছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই।’

আরও পড়ুন- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার সময় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে জেলে নিহত