বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন অব্যাহত রাখার এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা। ঘোষণার পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবস্থান থেকে সরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি সম্পর্কে মাহাথির মুহাম্মদ জানান, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দুপুর ১২টায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত হবেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করবেন। সন্ধ্যায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে প্রতিবাদী কনসার্ট হবে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণার পর হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশের পর সন্ধ্যায় হলগুলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে হল প্রশাসন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় তিন মাস ধরে আন্দোলন চলছে। অক্টোবরের শেষ থেকে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ এবং সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছিলেন। ফলে কার্যালয়ে যেতে পারছিলেন না উপাচার্য। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আট জন শিক্ষকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এই হামলার পর দুপুর ১টার দিকে পুলিশ, জাবি শাখা ছাত্রলীগ, প্রশাসনপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের কড়া পাহারায় নিজ গাড়িতে করে বাসভবন থেকে বের হন উপাচার্য। পরে সেখান থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। উপাচার্য তাকে ‘মুক্ত’ করার জন্য ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন-
হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান, ভিসি’র বাসভবনের সামনে অবস্থানের ডাক
সাড়ে ৩টার মধ্যে হল না ছাড়লে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
জাবি বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
ছাত্রলীগ দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করেছে, আমি কৃতজ্ঞ: জাবি ভিসি
ক্ষোভে উত্তাল জাবি