বন্দর সচিব ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৬ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করার পরই আমরা জেটিতে থাকা জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। শনিবার সকালে বন্দরের মূল জেটিতে থাকা জাহাজাগুলো একে একে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি জাহাজও জেটিতে নেই। ছোট লাইটারেজ জাহাজগুলোকে শাহ আমানত সেতুর ওপারে উজানে (আপস্ট্রিমে) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং থেকে শুরু করে কন্টেইনার পরিবহন সব কাজ বন্ধ। রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি প্যাকিং করা হচ্ছে। ঝড়ো হাওয়ায় যাতে কনটেইনার পড়ে পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হলো আমাদের ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা সংকেতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন-