নিহত প্রসূতি হলেন শহরের পালবাড়ির গাজিরঘাট এলাকার ইসমাইল হোসেন হিরুর স্ত্রী ময়না খাতুন (২৬)।
নিহতের ভাই শিমুল পারভেজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সন্তানসম্ভবা বোনের ব্যথা উঠলে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর সুরাইয়া নামে একজন নার্স আমার বোনকে পাশের বন্ধন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে ঢাকা থেকে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ এসেছেন বলেও তিনি জানান। এরপর বোনকে বন্ধনে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তার পরিতোষ কুমার কুন্ডু আমাদের জানান রোগীর অবস্থা ভালো না, এই মুহূর্তে সিজার করা দরকার। বোনের ডেলিভারি ডেট আরও তিন দিন বাকি ছিল। কিন্তু ডাক্তার নতুন করে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওটিতে নিয়ে যান। এমনকি তিনি বন্ড সইও করাননি। সিজার করেই ডাক্তার বেরিয়ে চলে যান। ২০-২৫ মিনিট পর বোনের খিঁচুনি ওঠে এবং তিনি মারা যান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে সিজার করা হয়। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। অতিরিক্ত ব্লিডিংও হয়নি। অপারেশনের পর সেলাই করে দিয়ে আমি চলে যাই। এরপর তাকে পরিষ্কার করে বেডে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর আমাকে ফোনে জানানো হয়, রোগীর অবস্থা খারাপ। আমি ইমার্জেন্সি কিছু ড্রাগ ব্যবহারের কথা বলে দিই। ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ওখানেই থাকেন। পরে অনেক চেষ্টা করেও আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। আট বছর আগে উনি একটা বাচ্চা প্রসব করেন। মাঝে একটা বিরাট গ্যাপ। আর উনি মারা গেছেন শ্বাসকষ্টের কারণে। তার যে শ্বাস কষ্ট ছিল, সে কথা স্বজনরা আগে জানাননি।’
যশোর কোতোয়ালি থানার ইনসপেক্টর তাসমীম আলম বলেন, ‘রোগীর মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ওই হাসপাতালে যাই। এরপর সেখানকার ডাক্তার ও ব্যবস্থাপককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’