দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মেহেন্দীগঞ্জের লস্করপুর গ্রামের মৃত রশিদ হাওলাদারের ছেলে মাহামুদ ইকবাল ও একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। তাদের মধ্যে ইকবাল পলাতক। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। ইদ্রিস মেহেন্দীগঞ্জের চরএককরিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেদায়েতুন্নবী জাকির জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইকবালের সঙ্গে নিহত ইদ্রিসের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এজন্য বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক হয়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে ইদ্রিস তার জমি উদ্ধার করেন। এর জের ধরে ২০১৫ সালের ১২ জুন ইকবাল ও মাসুদ পরিকল্পনা অনুযায়ী ইদ্রিসের বাড়িতে গিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় ইদ্রিস ইকবালকে জড়িয়ে ধরেন। ইকবালকে ছাড়িয়ে নিতে মাসুদ হাতুড়ি দিয়ে পেটায় ইদ্রিসকে। পরে দু’জন পালিয়ে যায়। ইদ্রিসকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিনই ইদ্রিসের বোন ছখিনা খাতুন বাদী হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন।