গাইবান্ধায় বাজারে আগুন: ব্যবসায়ীদের দাবি, ১০ কোটি টাকার ক্ষতি

আগুন মুহূর্তে বাজারের চারদিকে ছড়িয়ে পড়েগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট বাজারে ভয়াবহ আগুনে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আবদুল হামিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা, সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এলাকাবাসীর সহায়তায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হঠাৎ করে বাজারের একটি তুলার দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেই আগুন মুহূর্তে বাজারের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হওয়ার পাশাপাশি এ আগুনে আশপাশের আরও ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগুনের ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। সঠিক সময়ে ফায়ার তারা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হতো। তবে, ঘটনাস্থলে থাকা সাঘাটা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রানা মণ্ডল বলেন, ‘ধারদেনা ও ঋণ করে দোকান করেছি। দোকানের আয় দিয়ে সংসার চালানোসহ সাপ্তাহিক কিস্তি দিতাম। কিন্তু সেই দোকান পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। এখন কীভাবে কিস্তির টাকা দেবো এবং সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না।’

হাজি ট্রেডার্সের মালিক ব্যবসায়ী আলহাজ মুক্তার আলি বলেন, ‘আগুনে দোকানসহ কাপড় পুড়ে আমার প্রায় দুই কোটির ক্ষতি হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কাপড় ব্যবসা করতাম। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাতে হবে। সরকারি সহায়তা ছাড়া এই ক্ষতি থেকে উঠে দাঁড়াবার আর কোনও উপায় নেই।’

এদিকে, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন– গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান, ইউএনও রামকৃষ্ণ বর্মণ ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা।