বন্দরে জাহাজ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকদের কাজও বেড়েছে। মোংলা বন্দরের শ্রমিক সর্দার মো. ইস্রাফিল হাওলাদার ও শাজাহান সিদ্দিকি বলেন, ২০০৮ সালের আগে এ বন্দর মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছিল। দিনের পর দিন বন্দরের পশুর চ্যানেল জাহাজ শূন্য থাকতো। শ্রমিকদের এক সময় না খেয়ে দিন কাটাতে হতো। অভাবের তাড়নায় অনেকে বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন বলে জানান শ্রমিক সর্দাররা। তারা বলেন, এখন এ বন্দরে যে পরিমাণ জাহাজ আসছে তাতে কাজ করতে শ্রমিকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বন্দরকে ঘিরে সরকারের নানা পরিকল্পনার কারণে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, মোংলা বন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। গত পাঁচ অর্থবছরে বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে, আয়ও বেড়েছে।
অতীতে একসঙ্গে এত জাহাজ বন্দরে ভিড়েনি উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বলেন, মোংলা বন্দর এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এ বন্দরে নতুন নতুন জাহাজ আসছে। গত মাসে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজ এসেছে এ বন্দরে। বিদেশি জাহাজ থেকে ১১ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব পণ্য থেকে বন্দরের ৩২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
তিনি জানান, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বন্দরকে ঘিরে সরকারের নানা পরিকল্পনার কারণে এ বন্দরে জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এ বন্দরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দরের চিত্র পাল্টে যাবে।