বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুমধুম এলাকার ৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হামিদ উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ব্লক - জি-৪ এর আব্দুল করিমের ছেলে। আহতরা হলেন-একই ক্যাম্পে হাবিব উল্লাহ ও জুয়েল হক।
রোহিঙ্গারা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিস্ফোরণের একটি বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় দুইজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তাদের সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (পরির্দশক) কানন চৌধুরী বলেন, 'বিষয়টি এখন শুনেছি, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট-১ এর হেড মাঝি মোহাম্মদ রফিক বলেন, 'মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারে, সেজন্যা সীমান্তে বিজিপি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। এই স্থলমাইন বিস্ফোরণে আমার শিবিরের এক যুবক নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তবে সে সীমান্তে যাওয়ার বিষয়টি জানায়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক বিজিবি কর্মকর্তা জানান, সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুজন আহত হয়। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি মিয়ানমারের সীমানার ভেতরে ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো তারা সেদেশ থেকে এপারে আসার চেষ্টা করছিল। আবার এমনও হতে পারে তারা মাদক ব্যবসায়ী। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’