১৬ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে নলকূপে আর্সেনিক শনাক্তের কাজ

আর্সেনিক দূষণ (ফাইল ছবি)জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর‌ ১৬ বছর পর দেশের সব নলকূপের (টিউবওয়েল) পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। ‘পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন’ প্রকল্পের আওতায় জানুয়ারি থেকে ৫৪ জেলায় আর্সেনিক শনাক্তে নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হবে। বগুড়ায় সাড়ে চার লাখেরও বেশি নলকূপের পানি পরীক্ষা করবে সরকার। বগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে টিউবওয়েলে আর্সেনিক শনাক্তকরণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যায়। এর আগে বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৬৯ হাজার ২০৮টি নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া যায়। এ সময় আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৬৪ জন। আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে শাজাহানপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুজ্জামান জানান, ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে সাধারণ ভূগর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন ও নদীর পাশে চামড়া প্রক্রিয়াজাতে আর্সেনিক ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকে। বগুড়ার ১২ উপজেলার মধ্যে সদরের শাখারিয়া ও উলিপুর, শিবগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর ও ধুনটসহ আটটি উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এবার বগুড়ার ৬০ ইউনিয়নের নলকূপে আর্সেনিকের অস্তিত্ব চিহ্নিত করা হবে।’

বগুড়ায় ২০০৩ সালে নলকূপের পানিতে আর্সেনিক শনাক্তের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ বছর এ ধরনের আর কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। ফলে এই সময়ে স্থাপন করা নলকূপগুলো থেকে মানুষ না জেনেও আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে অনেকে চিকিৎসাও নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার বগুড়াসহ দেশের ৫৪ জেলায় (১৮ বৃহত্তর জেলা) ঝুঁকিপূর্ণ নলকূপ চিহ্নিত করার জন্য এনজিও নিয়োগ করছে। ২০২০ সালের শুরুতে পানিতে আর্সেনিকের অস্তিত্ব সন্ধান শুরু হবে। শুধু বগুড়ায় ওই প্রকল্পের আওতায় চার লাখ ৬৬ হাজার ২৯৩ টিউবওয়েলে আর্সেনিক শনাক্ত করার কাজ শুরু হবে।