পুলিশ সদস্যের গুলিতে দুই আনসার সদস্য আহত

 

সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-এর বডিগার্ড কনস্টেবল রেজাউল ইসলামের শটগানের গুলির স্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন দুই আনসার সদস্য। তারা হলেন- সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৩) ও সদস্য মতিউর রহমান (৩৫)। বর্তমানে তারা দুজনই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বিষয়টিকে অসতর্কতামূলক ও অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন।

জানা যায়, সদর থানা থেকে প্রায় আড়াই কি.মি. দূরে কান্দাপাড়ায় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজেদের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই আনসার সদস্য। সেসময় সদর থানার একটি পিকআপ-ভ্যান জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে পুলিশ লাইন্সে যাচ্ছিল। গাড়ির পেছনে সদর থানার ওসির বডিগার্ড রেজাউল শটগান হাতে বসে ছিলেন। তার শটগান থেকে হঠাৎ কয়েকটি গুলি বের হয়ে যায়। সেই গুলির স্লিন্টারের আঘাতে গুলিবিদ্ধ হন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই আনসার সদস্য। স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের জেলা কমান্ড্যান্ট এর পক্ষ থেকে একটি অবগতিপত্র জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। কমান্ড্যান্ট নিজেও এর তদন্ত করছেন।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, গুলিবিদ্ধ আনসার সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খুদা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে পত্র মারফত জানানো হয়েছে। এছাড়া এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’  

সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রোকন উজ্জামান বলেন, ‘দু’জনের শরীরে বেশ কিছু স্পিন্টারের আঘাত রয়েছে। আবদুল্লাহর আঘাতের পরিমান বেশি। তবে তারা শঙ্কামুক্ত। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’  

এদিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, ‘পুলিশের শটগান থেকে গুলি ও আনসার সদস্যদের বিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। তদন্তে অভিযুক্ত হলে পুলিশ কনস্টেবল রেজাউলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল রেজাউল বলেন, ‘দুপুরে শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের সময় ওসি স্যার পুলিশ লাইনে মিটিংয়ে ছিলেন। তাকে দ্রুত নিয়ে আসতে আমরা পুলিশ লাইনে যাচ্ছিলাম। পিকআপ-ভ্যানে একটি শটগান ও একটি গ্যাসগান ছিল। পেছনে আমি একাই ছিলাম। পিকআপটি চালানোর সময় ঝাঁকুনিতে অসতর্কতামূলকভাবে গুলি বের হয়ে যায়। গুলির স্পিন্টার পিকআপ-ভ্যানের বডি ভেদ করে তাদের শরীরে বিদ্ধ হয়।’