ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাইলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ সাংবাদিক

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়হুমকির ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চেয়ে ১২ সাংবাদিক ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দুটি আবেদন করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তর -এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিহার সরকার অংকুরকে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে শিক্ষার্থী ও ভর্তি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শফিক খান মুঠোফোনে ‘সাংবাদিকতা কাকে বলে তা দেখিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেন। ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় পলাতক স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির রহমানের ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডে শফিক খানের নাম উঠে আসে যা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এদিকে হুমকির ঘটনায় সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘হুমকিদাতাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষীয় প্রক্সি দিতে এসে আটক হওয়া শিক্ষার্থীর বক্তব্য এবং সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যেহেতু অভিযুক্ত সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী সেই হিসেবে আজ ওই বিভাগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, হুমকির ঘটনায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকরা থানায় দুটি পৃথক ডায়েরি করেছেন। হুমকির শিকার নিহার সরকার অংকুর একটি এবং প্রেসক্লাবের সকল সংবাদকর্মীর পক্ষে দফতর সম্পাদক আশিক আরেফীন আরেকটি ডায়েরি করেন। ১২ সংবাদকর্মীরা হলেন, সরকার আবদুল্লাহ তুহিন (দৈনিক অধিকার), ফজলুল হক পাভেল (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), সিফাত শাহারিয়ার প্রিয়ান (ডিবিএন নিউজ), তিতলি দাস (দৈনিক খোলা কাগজ), আশিক আরেফীন (পিবিএ), বায়েজিদ হাসান (দৈনিক আজকের খবর), ফারজানা সকাল (দৈনিক সংবাদ), হাবিবুল্লাহ আল মারুফ (দৈনিক আমার সংবাদ, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস), আজিজুল হাকিম পাভেল (দৈনিক সমাচার), আশিকুর রহমান সৈকত (দৈনিক সময়ের আলো), মো. ওয়াহিদুল ইসলাম (বাংলা ট্রিবিউন)।