ফতুল্লায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ছয় বখাটের স্বীকারোক্তি

আটক ছয় বখাটে নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ৬ বখাটে। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেয় তারা।

আসামিরা হলো- আল আমিন, মো. সুমন, রাসেল মিয়া, সুজন মিয়া, রবিন ও শাহাদাৎ হোসেন। তারা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বটতলা এলাকার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

জবানবন্দিতে আসামিরা জানিয়েছে, তারা ওই কিশোরীর চাচাতো ভাইকে মারধর করে সঙ্গে থাকা সাড়ে তিন হাজার টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে নেয়। এ সময় কিশোরীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মমিন হাজীর ইটভাটার পাশে টং দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাকে গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে চাচাতো ভাইকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরীকে তুলে নেয় বখাটেরা। চাচাতো ভাই বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানাকে জানায়। পরে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছয় বখাটেকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। তিনি একটি মশার কয়েল কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।