কে যে কখন জালে আটকা পড়বে বলা মুশকিল: ওবায়দুল কাদের

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরদলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযান এখনও শেষ হয়নি। এ অভিযান চলছে। কে যে কখন শুদ্ধি অভিযানের জালে আটকা পড়বেন তা বলা মুশকিল।’ তিনি বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সতর্কতার সঙ্গে কমিটি করার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ঘরের ভেতর ঘর করবেন না। কমিটি করতে গিয়ে দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের টানবেন না। খারাপ লোকেরা সুসময়ের বসন্তের কোকিল। দুঃসময় এলে তারা অতিথি পাখির মতো পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগে অনেক কর্মী আছেন। বাইরের লোক ভাড়া করার দরকার নেই। জমিদার নেতাদের শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে দরকার নেই।’

দলে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ অপরিহার্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু দলের মধ্যেই নয়, বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। বিএনপি এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মতো। তাদের রাজনীতি এখন প্রেস ব্রিফিং। এগারো বছর ধরে আন্দোলনের হাঁকডাক শুনছি। কিন্তু মরা গাঙে কি জোয়ার আসে! দেখতে দেখতে এগারো বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর?’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে বিএনপির চলমান কার্যক্রমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা কোনও রাজনৈতিক মামলা নয়, এটি দুর্নীতির মামলা। এই মামলায় রাজনীতির কোনও বিষয় নেই যে সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করবে। এটি সম্পূর্ণভাবে বিচার ব্যবস্থা ও আদালতের বিষয়। আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে আদালত পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। সরকারের বা আওয়ামী লীগের এখানে কোনও কিছুই করণীয় নেই।’

এ সময় তারেক রহমান প্রসঙ্গে বলেন, ‘হাওয়া ভবনের যুবরাজ আজকে টেমস নদীর তীরে বসে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করছে, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি উসকে দিচ্ছে।’

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রায় রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

পরে কুড়িগ্রাম পৌর টাউন হলের শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশনে মো. জাফর আলীকে সভাপতি ও আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জাফর আলী নির্বাচিত হয়েছিলেন।