পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইফাত সান্তাহারে যোগিপুকুর এলাকার ফারুক আহম্মেদের ছেলে। তিনি প্রায় এক মাস আগে ঘোড়াঘাট এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছিলেন। রবিবার সকালের দিকে সহকর্মীরা এসে ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের তার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তাকে পার্শ্ববর্তী নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা জানান, রিফাত খুব ভালো ছেলে ছিলেন। উপজেলা ছাত্রলীগের আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মর্মাহত।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ইফাতের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যরাও কিছু বলতে পারছেন না। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর কেউ কেউ বলেছেন, ইফাত বগুড়া শহরে গোপনে বিয়ে করেছেন। তার একটা চার বছরের সন্তানও রয়েছে। ছাত্রলীগে পদ পেতে বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলেন। এছাড়া তিনি কোনও কারণে হতাশায় ভুগছিলেন।
এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।