জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাগুরায় মোট ৫০৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশতেই সরকারি ভবন রয়েছে। এছাড়াও চাহিদার ভিত্তিতে জরাজীর্ণ বা ব্যবহার অনুপযোগী এরকম প্রায় ২৫০টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য নাম পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুইশ’ স্কুলকে নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে কয়েকটি স্কুলে দেখা গেছে, সরকারি ভবন থাকলেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় আদি ভবনেই ক্লাস চালাতে বাধ্য হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুরনো ভবনের অধিকাংশই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সদর উপজেলার শ্রীকুন্ঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি ভবন থাকলেও তা ছাত্র-ছাত্রীদের স্থান সংকুলানের জন্য যথেষ্ট নয়। বাধ্য হয়েই তারা টিনশেড বিল্ডিংয়ে ক্লাস চালাচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরোজা খাতুন বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে টিনশেড ভবনে ক্লাস চালাচ্ছি। গরমে অতিষ্ঠ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে খুবই বিপদে পড়তে হয়। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।’
মাগুরা কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রমিম বলেন, ‘স্কুলে সরকারিভাবে একটি দ্বিতল ভবন থাকলেও ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যার অনুপাতে তা যথেষ্ট নয়। ফলে আমাদের পুরাতন টিনশেড ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। একটু ঝড় হলেই তা নড়তে থাকে। আমরা সব সময় আতঙ্কিত থাকি শিশুদের নিয়ে। তাছাড়া এখানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। বাইরের স্কুল থেকেও অনেক শিশু পরীক্ষা দিতে আসে এখানে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, ‘পুরনো এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো সম্পর্কে আমরা নিয়মিত খোঁজখবর নিই। এর অনেকগুলোর মেরামত কাজ চলছে। অনেকগুলোর মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া আমরা প্রায় ২৫০ বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন চেয়েছি। যার অধিকাংশেরই ভবন বরাদ্দ হয়েছে।’ খুব শিগগিরই এসব ভবনের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।