আশুগঞ্জে ফের দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

দুর্গাপুরে দু দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষবিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুর্গাপুরে ফের দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শুক্রবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মহরম মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার নাজির গোষ্ঠীর সিএনজিচালক সুমনের কথা কাটাকাটি ও হতাহাতি হয়। এর জের শুক্রবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দুর্গাপুর গ্রামের নাজির মিয়া ও জামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবারের সংঘর্ষের পর সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্যে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়া, দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান সাজু ও আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াছসহ চার-পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল দুর্গাপুরে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। দ্রুত বিরোধ মীমাংসায় আগামী সোমবার সালিশ সভার তারিখ নির্ধারণ করে তারা চলে আসেন। এর পরপরই উভয় গোষ্ঠীর লোকজন পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ওসি জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০৯ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ৩৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশের এএসআই এমদাদ হোসেন, কনস্টেবল আবুবকরসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

তিনি আরও জানান, দাঙ্গাবাজির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এরপর শনিবার দুপুরে আবারও এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।