কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় হবিগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ

কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় হবিগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক নেতা ও প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে (১২ নম্বর) ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় হবিগঞ্জসহ মাধবপুরে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ-উল্লাস করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানসহ স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মিষ্টি বিতরণে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ জয়নাল আবেদিন রাসেল, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বাদল মিয়া প্রমুখ।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনও সাজা দেওয়া হয়নি তাকে। পরে ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিলের  রায়েও মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত।