এবার কালভার্ট নির্মাণে পাথরের বদল ইটের খোয়া

সরানো হয়নি পানি

দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ভবনে রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহারের পর এবার কালভার্ট নির্মাণে পাথরের বদলে ইটের খোয়া দেওয়া হয়েছে। ঝালকাঠির রাজাপুরে এই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। 

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে উত্তর তারাবুনিয়া ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্নে খালের ওপর ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করে ঝালকাঠির মেসার্স খাদিজা ট্রেডার্স। খালের দুই পাশে বাঁধ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও খাল খোলা রেখেই পানির মধ্যে ঢালায়ের কাজ শুরু করে তারা। নিয়ম না মেনে রাতের আঁধারে ঠিকাদারের ইচ্ছামতো নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। পাথর দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার পাথরের পরিবর্তে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন, যা পানিতে ধুয়ে যাবে। এছাড়াও লাল বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সাদা বালু।

ঘটনাস্থলের ইটের খোয়া

এ ব্যাপারে মেসার্স খাদিজা ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাজটি আমার ছোট ভাই শিমুল করাচ্ছে। কাজের ওখানে কী হয়েছে তা আমি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ জানান, আমাকে না জানিয়েই রাতের আঁধারে ঠিকাদার কালভার্টের ঢালাই দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কাজের স্থলে যেসব নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলে নিয়ম মোতাবেক নির্মাণ সামগ্রী এনে কাজ শুরু করার আগে আমাকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছি।