আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মন্দির ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে প্রিয়াঙ্কা মিত্র নামের এক আইনজীবী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বাদী প্রিয়াঙ্কা মিত্র বলেন, ‘আদালতের দেওয়া স্থিতি অবস্থায় থাকাকালীন আদেশের সময় আমাদের জমিতে এসে এমপি রিমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের সপরিবারে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। এ সময় এমপি রিমন আমার জমির তদারকির দায়িত্বে থাকা তাইমুল ইসলাম নামের এক যুবককে মারধর করেন। সেই সঙ্গে আমাকেও মারধর করেন। এ সময় এমপির নির্দেশে আমাদের জমির ওপর নির্মিত রাধাগোবিন্দ মন্দির উচ্ছেদ করা হয়। আমি আদালতের মাধ্যমে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালত নিশ্চই আমার সুবিচার নিশ্চিত করবে।’
এ বিষয়ে বরগুনা-০২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রিয়াঙ্কা মিত্র অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে মন্দির নাম দিয়েছে। দুর্গাপূজা করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের কাছ থেকে একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছিল সেটি এখনও বিদ্যমান রয়েছে। কোনও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। প্রিয়াঙ্কা মিত্র জমি দখল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে একটি স্লুইস গেট আগে থেকেই রয়েছে সেখানে নতুন স্লুইস গেট নির্মাণ করতে গেলে তিনি বাধা দিয়ে আসছেন। খাল পারের জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখানে উন্নতমানের স্লুইস গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু তাদের অবৈধ স্থাপনার কারণে তা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’