রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ, বাড়ছে অসন্তোষ

পাটকল শ্রমিকদের সমাবেশ (ফাইল ফটো)

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে স্থায়ী শ্রমিকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ‘মজুরি স্কেল-২০১৫’ এর মজুরি স্লিপ পেয়েছেন বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। কিন্তু এ মাস থেকেই পাটকলে বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ার কারণে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একারণে খুলনা-যশোরের ৯টি পাটকলে প্রায় ১০ হাজার বদলি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে এই বদলি শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

প্লাটিনাম জুট মিলের মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সম্প্রতি বিজেএমসি একটি চিঠি দিয়ে মিলে উৎপাদন কম থাকায় বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। সে অনুযায়ী বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে স্লিপ পেয়েছি। আমরা খুশি। কিন্তু আমাদের সহকর্মী বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।তারা এখন বেকার হয়ে পড়েছেন— যা আমাদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।’

বদলি শ্রমিক আবদুস সাত্তার ও সালাম শেখ জানান, চলতি মাস থেকে তারা আর মিলে কাজ করতে পারছেন না। এর ফলে তাদের মতো আরও  অনেক বদলি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, ‘স্লিপ পাওয়া শ্রমিকরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে টাকা হাতে পাবেন বলে আশা করছি। তবে সম্প্রতি একটি চিঠির মাধ্যমে মিলের বদলি শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  স্থায়ী শ্রমিকের অবর্তমানে এই বদলি শ্রমিকরা কাজ করেন।’    

প্লাটিনাম জুট মিল সিবিএ’র সাবেক সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘১১ দফা দাবির মধ্যে একটি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি ১০ দফা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাটকলে আধুনিক মেশিন বসালে উৎপাদন ক্ষমতা ৩/৪ গুণ বেড়ে যাবে।’

বিজেএমসির খুলনা জোনের সমন্বয়কারী বনিজ উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘শুধু খুলনা অঞ্চলে না, বিজেএমসির নির্দেশনায় দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে বদলি শ্রমিকের কাজ বন্ধ রয়েছে। খুলনা- যশোরের ৯টি পাটকলে বদলি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন তিন হাজার। মিলগুলোতে উৎপাদন কম। তাই বদলি শ্রমিকের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ।’