মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ যাত্রী আহত

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরাচাঁদপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে আট যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মেঘনা নদীর আলুর বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে চারটি শিশুও রয়েছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছে- বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার মহিউদ্দিন (১০), ফয়জুল (১২), মাসুম (২৬), রাসেল (১৫), মো. তারেক (১১), আবু তাহের (২৫)। তাদের বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায়। তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আহত যাত্রীরা জানায়, এমভি আওলাদ-৪ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। আর এমভি টিপু-১২ চাঁদপুর থেকে ছেড়ে পিরোজপুর জেলার হুলারহাটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পরে আলুর বাজার এলাকা অতিক্রমকালে এমভি টিপু-১২ লঞ্চটি এমভি আওলাদ-৪ লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে আওলাদ লঞ্চে থাকা আট যাত্রী গুরুতর আহত হয়। সংঘর্ষে আওলাদ লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এমভি আওলাদ-৪ লঞ্চের চাঁদপুর ঘাট সুপারভাইজার রুহুল আমিন বলেন, দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে এমভি আওলাদ লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আট যাত্রী আহত হয়। পরে আহতদের ট্রলারে করে চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়।

চাঁদপুর নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস বলেন, দুর্ঘটনার খবর তারা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যান। এ সময় লঞ্চ দুটিকে ঘাটে ভেড়ানোর অনুরোধ করা হলেও তারা আহ্বানে সাড়া না দিয়ে যে যার গন্তব্যে চলে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আসিবুল আহসান আসিব বলেন, ‘রাতে চাঁদপুর মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে আমাদের এখানে ছয় জন ভর্তি হন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। বাকিরা আশঙ্কামুক্ত।’