সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সাইফুলকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকার মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঢাকায় পাঠাও চালকের কাজ করেন। তার স্ত্রী ও একটি ছোট শিশুসন্তান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।’
জানা যায়, সাইফুলের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার আলদিপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম লালু মিয়া। তিনি ঢাকায় পাঠাও চালকের কাজ করেন। সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় তার স্ত্রী মৌসুমির বাড়ি।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ ওই যুবককে ছয়তলা ভবনের ছাদে দেখতে পায়। পুলিশ তখন নিচ থেকে যুবকের সঙ্গে কথা বলে তাকে বুঝিয়ে আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। একই সময়ে পুলিশের কিছু সদস্য ওই ভবনের ছাদে যায়। দরজার পাশের ইট ভেঙে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশের সদস্যরা।
সাইফুলের মামা সাভারের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারে। তবে সাইফুল মানসিক বিকারগ্রস্ত নয়।’