বগুড়ায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, হত্যাসহ এক ডজন মামলার আসামি জুয়েলকে (৩৫) গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সদর থানায় অবস্থান নেন বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসীরা ফিরে যান। এছাড়াও হুমকির অভিযোগে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবাইদুল ইসলাম স্বপন রাতেই তার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়নের দাসপাড়ার মনোরঞ্জন কালিপদ দাসের ছেলে জুয়েল দাস ওরফে হাড়ি জুয়েল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেক্কাত হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দাসপাড়া গোধুলী স্নিগ্ধা ক্লাবের উদ্যোগে স্বরস্বতী পূজা চলছিল। এ সময় মদ্যপ জুয়েল সেখানে নারীদের ওপর আক্রমণ করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেখানে উপস্থিত সবাইকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় জানান, ২-৩ দিন আগে সদর থানা পুলিশ জুয়েলের ভাই সম্রাটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করে। জুয়েলের সন্দেহ- সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবাইদুল ইসলাম স্বপন তার ভাইকে ধরিয়ে দিয়েছে। এ কারণে সে স্বপনের ওপরও হামলা চালায়। পূজা মণ্ডপে নারীসহ ও স্বপনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শতাধিক নারী-পুরুষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর থানায় এসে অবস্থান নেন।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেক্কাত হত্যাসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় সে কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছিল। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছে। তার ভাই সম্রাটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ গ্রেফতার করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে পূজা মণ্ডপে জনগণের উপর চড়াও হয়েছিল। জুয়েলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।