কোরালের সঙ্গে বাড়ি খেয়েই ট্রলারডুবি, চার দালাল আটক (ভিডিও)

প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার সোহেল রানাসেন্টমার্টিনের কাছে কোরালের সঙ্গে বাড়ি খেয়েই মানবপাচারকারী ট্রলারটি ডুবেছে বলে মনে করছে কোস্টগার্ড। টেকনাফের কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোহেল রানা জানান, ১৩৮ জনকে বহনকারী ছোট ট্রলারটি জোরে ডুবন্ত কোরালের সঙ্গে বাড়ি খায়। একারণে এটি তলা ফেটে ডুবে যায়। নিহতদের অনেকের লাশই পানির নিচ থেকে টেনে বের করতে হয়েছে। সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া চার মাঝিকে মানবপাচারের এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টেকনাফের জালিয়াপাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা এসব কথা জানান।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে সেন্টমার্টিনের অদূরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এর মধ্যে ১২ জন নারী ও তিনটি শিশু। আর ৭২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি ৪৮ জনই নিখোঁজ বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া ও নিখোঁজদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি টেকনাফ ও উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাও রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোহেল রানা জানান, ‘ছোট একটা বোটে ১৩৮ জন থাকার কারণে হতাহতের পরিমাণ বেশি। আরোহীরা আশপাশের এলাকার। নয়াপাড়া, লেদাসহ পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পগুলোর বাসিন্দা ছিল এতে। এই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া চার মাঝিকে দালাল হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

এর আগে কোস্টগার্ড জানায়,  ভোর ৫টায় মালয়েশিয়াগামী ওই ট্রলারের এক যাত্রী কান্নাকাটি করে ফোন দেন ও বাঁচার আকুতি জানান। আব্দুল নামে ওই যাত্রী জানান, ট্রলারে করে ১৩৮ জন অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। পথে ট্রলারটি পাথরে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাচ্ছে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে দুটি অনুসন্ধানী দল কাজে নামে। সকাল ৭টায় ডুবন্ত ট্রলারটিকে খুঁজে পান কোস্টগার্ড সদস্যরা। পরে ৭২ জনকে জীবিত ও ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন তারা।

আরও পড়ুন-  

যেভাবে ডুবেছিল মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি

৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন আব্দুল

মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি, ১৫ লাশ উদ্ধার