বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সেন্টমার্টিনের অদূরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এর মধ্যে ১২ জন নারী ও তিনটি শিশু। আর ৭১ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ট্রলারে ১৩৮ জন ছিলেন। তারা রোহিঙ্গা ও উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারে শতাধিক যাত্রী ছিল। এখনও সাগরে ভাসমান লাশ দেখা যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতর সংখ্যা বাড়তে পারে। উদ্ধার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি জানান, এখনও অর্ধশতাধিকের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রলার ডুবির ঘটনা শুনেছি। পরে বিস্তারিত জানাবো।’
আরও পড়ুন:
যেভাবে ডুবেছিল মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি
৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন আব্দুল