নিরক্ষরতা ঘোচাতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পরিবারের সদস্যরাই– এরকম ভাবনা থেকেই মাগুরা উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচির উপপরিচালক সরোজ কুমার দাস পারিবারিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচির উদ্ভাবন করেন। শালিখায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কর্মসূচির সূচনা করেছে জেলার দুটি বেসরকারি সংস্থা রোভা ও ইসাডো। উপজেলার ১৫০টি পরিবারকে নিয়ে তারা শুরু করেছে এ সাক্ষরতা অভিযান।
শালিখা উপজেলার গ্রামের গৃহবধূ নাসরিন বেগম বলেন, ‘আগে আমি সম্পূর্ণ নিরক্ষর ছিলাম। আমার মেয়ে এখন আমাকে পড়ায়। এখন আমি সবকিছু লিখতে ও পড়তে পারি।’
আশি বছর বয়সী শালিখা উপজেলার হরিসপুর গ্রামের মনু মণ্ডল বলেন, ‘সারাজীবন পড়াশোনা করতে পারিনি। মনে অনেক ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করার। জীবন-জীবিকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। শেষ জীবনে এসে তা সম্ভব হচ্ছে নাতির মাধ্যমে। এখন আমি লিখতে-পড়তে পারি।’
মাগুরার সহকারী শিক্ষা অফিসার আলমগীর কবির বলেন, ‘পারিবারিক শিক্ষাদান পদ্ধতি অনেক দেশেই আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানে এটি খুব জনপ্রিয়। মাগুরার শালিখা উপজেলায় এ পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কর্মসূচি চালু হয়েছে– এটি খুব আনন্দের ব্যাপার। আশা করি, এটি খুবই জনপ্রিয় এবং সফল কর্মসূচিতে রূপ নেবে।’