নিহতরা হলেন– বাঁশখালীর দক্ষিণ বাগমারা এলাকার মৃত রৌশনুজ্জামানের ছেলে ওমান প্রবাসী মো. আক্কাছ (২৮) ও বাঁশখালীর আইদ্দারখীল এলাকার আমান উল্লাহর ছেলে স্কুলছাত্র মো. মিনহাজ (১০), খানখানাবাদের রায়ছড়া গ্রামের আব্দুল মালেক (৫০) এবং কদম রসূল গ্রামের আব্দুল জলিল (৩২)।
ওসি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুতুবদিয়ায় শাহ আব্দুল মালেক কুতুবীর উরসে যাওয়ার সময় বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাঁশখালীর কাথারিয়া চুনতি বাজার এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার জলকদর খালে উল্টে যায়। ওই ট্রলারে থাকা আক্কাছ ও মিনহাজ নিখোঁজ হন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা আক্কাসের মরদেহ খুঁজে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা এসে দুপুর দেড়টার দিকে মিনহাজের মরদেহ উদ্ধার করেন।’
একই উরসে যাওয়া আরেকটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, ‘অপর ট্রলারডুবির ঘটনাটি ঘটে গন্ডামারা ইউনিয়নের খাটাখালী এলাকায় বঙ্গোপসাগরে। খানাখানাবাদের কদমরসুল এলাকার ১২৫ জন যাত্রী নিয়ে ওই ট্রলারটি কুতুবদিয়া দরবার শরিফে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় গন্ডামারা সমুদ্র মোহনায় পৌঁছলে সেটি উল্টে মালেক (৫০) ও জলিল (৩২) মারা যান।’
নিহত চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওসি জানান।