মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রে সম্পর্ক, অতঃপর ধর্ষণ

মাফিউল ইসলাম স্বপনমোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাফিউল ইসলাম স্বপন (২৫) রবিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মাফিউল ইসলাম স্বপন বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া সুলতানপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। তার দুই স্ত্রী রয়েছে। সে পরিচয় গোপন করে অন্যের নামে ফোন সিম ব্যবহার করতো। ওই সিম ব্যবহার করে মিস কল দিয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় নিয়ে আসে। এরপর তাকে মহাস্থান গড়ে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে সে বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বপন তাকে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হাসপাতলে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করেনি। সে সময় স্বপন ওই কিশোরীকে মাটিডালী মোড়ে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা সদর থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার পর কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।