রানীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত খায়রুল আলম ডন জানান, তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে। নতুন কোনও তথ্য পেলে জানানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে জবানবন্দি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে রবিউল (২৩), একই গ্রামের মুসলিম উদ্দীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), খলিলুর রহমানের ছেলে সাগর আলী (১৯), মোস্তফা আলমের ছেলে জুয়েল রানা (১৬) ও মতিউর রহমানের ছেলে শাহ নেওয়াজ (১৯)। এদের মধ্যে প্রথম তিন জন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং বাকি দু’জন হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিহত গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব পাশের এলাকার কাতিহার ও গোগর বাজারে গরু বিক্রি করেন। তার কাছে গরু বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা আছে, এমন খবর পেয়ে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসামিরা। ওই দিন রাতে বাড়িতে ফেরার সময় গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীর টাকা চায় আসামিরা। টাকা না পেয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে গরু ব্যবসায়ীকে গম ক্ষেতের মাটির নিচে চাপা দিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র পাশের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীর থেকে হাতিয়ে নেওয়া নগদ সাত হাজার টাকা আসামিরা ভাগ করে নেন এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামি রবিউল রেখে দেয়। পরের দিন রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি গম ক্ষেতে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। গম ক্ষেতের মাটি সরিয়ে তৈয়ব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।