হিলি ইমিগ্রেশনে ভারতীয় যাত্রীদের ভিড়

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যটক ভিসা বন্ধের পর দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এদিকে হঠাৎ করে এই ঘোষণা হওয়ায় বাংলাদেশ ঘুরতে আসা ভারতীয়রা নিজ দেশে ফেরার জন্য হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভিড় করেছেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকাল পাঁচটার পর যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে শুধু ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকের নিজ দেশে ফেরত কার্যক্রম চালু থাকবে।

জানা যায়, এই চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। তবে আজ ভিড় দেখা গেছে।  

বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরা পাসপোর্ট যাত্রী সৌমেন কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলাম আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য। সেখানে আরও কয়েকদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে শুনলাম, ভারত আজ বিকাল থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেবে। তাই দ্রুত ভারতে ফিরে যাচ্ছি।’

ভারত থেকে দেশে ফেরা শামিম শেখ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারতের চেন্নাই গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসা চলছিল। আরও কিছুদিন থাকতে হতো। কিন্তু ভিসা ও যাত্রী পারাপার বন্ধ হচ্ছে। একমাসের বেশি সময় এমন থাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি দেশে ফিরলাম। আমার মতো অনেকেই এভাবে দেশে ফিরছেন।’

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি সেকেন্দার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তারা সব যাত্রী গ্রহণ করবে। এরপর শুধু ভারতীয় নাগরিকদের গ্রহণ করবে এবং ভারত থেকে শুধু বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেবে।’  

হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই পথে যাত্রীদের ভ্রমণকর বাবদ প্রতিদিন সরকার দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পেয়ে থাকে। যাত্রী পারাপার বন্ধ হলে রাজস্ব আয় থেকে সরকার বঞ্চিত হবে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে তা বন্ধ হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।’