বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বুড়িমারী স্থলবন্দরকরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। ২২ মার্চ (রবিবার) সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) সোমেন কুমার চাকমা। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত আমরা তেমন কোনো লিখিত বা মৌখিক নির্দেশনা পাইনি।

২১ মার্চ রাতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তরফ থেকে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান সোমেন কুমার চাকমা।

জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া ইমিগ্রেশন কার্যক্রমও বন্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক পাসপোর্ট নিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানে অবস্থান করছেন তাদের ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তেমনি বাংলাদেশ থেকেও এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা চলে যেতে পারবেন।’

বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহার করা ব্যবসায়ী মেসার্স সায়েদ এন্টারপ্র্ইাজের স্বত্বাধিকারী সায়েদুজ্জামান সাঈদ বলেন, ‘এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশব্যাপী। প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আপাতত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ২২ মার্চ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে আমরা জানতে পারলাম, করোনা সংক্রমণ রোধে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

আরেক ব্যবসায়ী তারেক ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’

স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ ব্যতীত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’