খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় পীর সিরাজুল হক চিশতির মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর ভক্তরা বাড়িতে থাকা মাজারের পাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উরসে বুধবার ২৫ মার্চ বিপুলসংখ্যক ভক্ত আসেন। করোনাভাইরাসের কারণে যেকোনও জনসমাগম নিষেধ থাকার পরও এ আয়োজন করায় পুলিশ দু’দফা নিষেধ করে যায়। এরপরও ভক্তরা অবস্থান করায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলাম আসেন। তারা আবারও অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করায় ভক্তরা দরজা বন্ধ করে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সদর থানার ওসি বিপুল সংখ্যক ফোর্স নিয়ে সেখানে আসলে ভক্তরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে অনেককে আটক করে। এছাড়া বেশ কয়েকজন নারীভক্তকে স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ও তরুণ চক্রবর্তীর জিম্মায় দেয় পুলিশ।
বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম নয়ন, কয়েকজন ভক্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ কয়েকটি ঘরের দরজা ভেঙে মারপিট করে আয়োজক রাহুল গাজী ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আমিন নুরুসহ বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে।