বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আবদুল আউয়ালের বরাত দিয়ে বলেন, ওই তরুণ এক দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। সাত দিন আগে থেকে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। গত মঙ্গলবার বিকালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আবদুল আউয়ালকে দেখান এবং তার ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছিল। গতকাল সন্ধ্যায় এই তরুণের একাধিকবার বমি হয় এবং সঙ্গে রক্ত যায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় তারা বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানান।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘গতকাল রাতে হাসপাতালে এক তরুণকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। পরবর্তীতে স্বজনরা লাশ নিয়ে যায়।’
সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান বলেন, ‘জ্বরে আক্রান্ত ওই তরুণের মৃত্যুর বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হলে তরুণের লাশ থেকে আলামত সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আলামত সংগ্রহ করে আজ সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম জানান, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকায় যে ভবনে থাকত, সে ভবনটিতে বসবাসকারী সব বাসিন্দাকে পুলিশী হেফাজতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই তরুণের লাশ দাহ করার প্রক্রিয়া চলছে এবং লাশ দাহকারীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।