সিলেটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিয়ে যত অভিযোগ



করোনা আইসোলেশন সেন্টারকরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ জেনারেল হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সেখানকার সেবা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেখানে সেবা নেওয়া লন্ডন ফেরত প্রবীন সাংবাদিক এম এ সালাম অভিযোগ করেন, সেখানে অবস্থান করে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে সকাল ৯ টায় দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন এম এ সালাম। সেখান থেকে অপর একটি ফ্লাইটে করে তিনি সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে দুপুর ২টায় এসে পৌঁছান। পরে বিমানবন্দরে শরীরে ৯৯ ডিগ্রি জ্বর পাওয়া যায়। তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ জেনারেল হাসপাতালে।

তবে হাসপাতালের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিক সালাম বলেন, হাসপাতালের যে কক্ষে আমাকে রাখা হয়, তা মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়। সেখানে ছিল না বিদ্যুৎ, বাথরুম, বেড ছিল নোংরা। যে বালিশ ও কভার দেওয়া হয় তাতে মাথা রাখার মতো অবস্থা ছিল না। সেখানে কোনও ডাক্তার বা সেবিকার সহায়তাও পাইনি। পরে সন্ধ্যায় এক নিরাপত্তা রক্ষীকে জানালে তিনি একজনকে ডেকে আনেন ও আমার কক্ষ পরিবর্তন করে দেন। তবে সেই কক্ষেরও অবস্থা প্রায় একই রকম ছিল। মশার যন্ত্রণায় পুরো রাত ঘুমাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শুক্রবার মোবাইলফোনে ভুক্তভোগী সালাম আরও জানান, সকালে মুখ ধোয়ার পানি ছিল না। এছাড়া গত (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে (শুক্রবার) ভোর পর্যন্ত কোনও খাবার সরবরাহও করা হয়নি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেটের সির্ভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ এম সালাম যে অভিযোগ করেছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা। সেখানে বাথরুম নোংরা বা পানি না থাকার থাকার প্রশ্নই ওঠে না। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি, উনাকে ভালো রুম দেওয়া হয়েছে দেখেছি। উনাকে দেখাশোনার জন্য ডাক্তার ও নার্সও রয়েছেন। খাবারও ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে।