বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা তিনজনের নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হবে

করোনাভাইরাসবগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে তিন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। দুই-তিনদিনের মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ল্যাবরেটরি চালু হলে সেখানে তাদের নমুনা পাঠানো হবে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল এ তথ্য জানান।

আরএমও জানান, ২৯ মার্চ থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওইদিন বিকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুমিল্লায় চাকরিরত শাকিল এবং বগুড়ার ধুনটের আবদুল হান্নানকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ২৯ মার্চ বগুড়ার মহাস্থানে ট্রাক থেকে নামিয়ে দেওয়া রংপুর শহরের ধাপ মডার্ন মোড় এলাকার শাহ আলমকে সোমবার শজিমেক হাসপাতাল থেকে এখানে আনা হয়েছে। এ নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে তিন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু দু-তিন দিনের মধ্যে রামেক হাসপাতালে ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হবে। তখন এ তিন রোগীর নমুনা সেখানে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় গত ২৪ মার্চ বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করা হয়। রোগীদের বিদায় দিয়ে সেখানে পাঁচ ফুট পর পর ১২০টি বেড প্রস্তুত করা হয়। ১০ দিন সেবা দিতে ৩০ সদস্যের চিকিৎসক প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় তিন জন করে চিকিৎসক দায়িত্ব পালন শেষে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন। তবে ইউনিটটি স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১০ বেডের আইসিইউ, পিপিই ৫ হাজার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ৫০টি, নেবুলাইজার ১০০ সেট, একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, বায়োকেমিক্যাল অ্যানালাইজার, কিট, প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম, ওষুধ ও লোকবল চাওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৪০০ পিপিই এসেছে। আপাতত বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল থেকে দুই বেড আইসিইউ ও কিছু সরঞ্জাম আনা হয়েছে।