পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর ওপর নাবিলের হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতেই মামলা হয়। পরে সাগর চৌধুরীর মামলায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাবিলের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাবিলকে আদালতে উপস্থিত করা হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৪২, ৩২৩, ৩০৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলায় নাবিল ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নাবিল গ্রেফতারের খবরে কিছুটা স্বস্তি আসলেও ভোলার সাংবাদিকদের মধ্যে শঙ্কাও কাজ করছে। ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক সাগর চৌধুরী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য আসা চাল চুরির অভিযোগ করায় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে নাবিল হায়দারের বিরুদ্ধে। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। তবে হামলার ঘটনায় নাবিল ও তার বাবার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
সাংবাদিক নির্যাতনকারী সেই নাবিল গ্রেফতার
চাল চুরির অভিযোগ করায় সাংবাদিককে নির্যাতন, ফেসবুকে লাইভ