সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে কঠোর অবস্থানে আইনশৃংখলা বাহিনী

20200402_121816সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে কঠোর অবস্থানে গিয়ে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর চাষাঢ়া, দুই নম্বর রেলগেইট,  ডিআইটি, কালির বাজারসহ নগরীরর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং মানুষকে সচেতন করতে প্রচারপত্র বিলিসহ মাইকিং করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এসময় সেনাসদস্যরা মাস্ক বিতরণও করেন। সেনাবহিনীর ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমা মেহেজাবিন বলেন, সামাজিক সচেতনা সৃষ্টির জন্য ২৪ মার্চ থেকে প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, এই জেলার অনেকেই করোনা নিয়ে সচেতন নন। তাই সেনাবাহিনী মাঠে নেমে কাজ করছে। যাতে করোনা মোবেলায় দেশ সফল হয়।

এদিকে দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে বারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহনী, র‌্যাব পুলিশ যৌথসভা করেন। ঘনবসতিপূর্ণ ও শিল্পাঞ্চল নারায়ণগঞ্জে জেলার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য কৌশল নির্ধারনের জন্য এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিং করেন।

20200402_121740প্রেস ব্রিফিংয়ে লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীন বলেন, সেনাবাহিনী গত ২৪ মার্চ থেকে প্রশাসনের সঙ্গে জেলার জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জেলার অধিকাংশের লোকজনের মধ্যে সচেতনতা কম লক্ষ্য করা গেছে। তাই বাধ্য হয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় জনগণ সচেতন হয়ে ঘরে থাকবে এমনটা প্রত্যাশা করি। সেনাবাহিনী কোনও নাগরিকের সঙ্গে রূঢ় বা কঠোর হতে ইচ্ছুক নয়। জনসাধারণ নিজ দায়িত্বে সচেতন হবে এমনটিই প্রত্যাশা।’

এ সময়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, জেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণের নামে লোকসমাগম করা হয় তবে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ার করেছেন।

20200402_123535জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টার, মর্ডান, মেডিনোভা, ল্যাবএইডসহ জেলার বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে যাতে নিয়মিত ডাক্তার বসে এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে যাতে রোগী গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে।