হিলিতে ফোন করলেই মিলছে খাদ্য

HILI POURO PIC 2করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ছুটির কারণে দিনাজপুরের হিলিতে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধের কারনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষেরা। এমন অবস্থায় দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। এরপরেও কেউ যদি এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন তারা মেয়রের নম্বারে ফোন দিলেই তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।

এক ফেসবুক বার্তায় তিনি পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে এই আহবান জানান। সেই সঙ্গে খাদ্যসহায়তা পেতে তিনি তার ব্যবহৃত নাম্বারটি জানিয়ে দেন সেটি হলো- ০১৭১২০৫৯১৯২। এদিকে তার এ আহবানের পরে হিলি বাজারের দুই চায়ের দোকানের শ্রমিক সেই নাম্বারে ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন মেয়র।

হিলি বাজারের চা দোকানি খাদেমুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে গত ২৪ মার্চ থেকে আমার চায়ের দোকানটি বন্ধ রয়েছে। আমার এই দোকানে দুইজন শ্রমিক কাজ করতো, কিন্তু দোকান বন্ধ থাকায় আয় রোজগার না থাকায় তারা দুজনেই বিপাকে পড়েছিলেন। এমন অবস্থায় গতকাল মেয়র মোবাইল নাম্বার দিয়ে খাদ্য সহায়তা লাগলে ফোন দেওয়ার জন্য বলে। পরে সন্ধ্যার দিকে মেয়রকে দুই শ্রমিকের জন্য বলি বলার কিছুক্ষণ পরেই পৌরসভা থেকে চাল, আলু ও লবণ দিয়ে পাঠানো হয়। এতে করে অন্তত কয়েকদিন পরিবার পরিজন নিয়ে দুমুঠো ভাত খেতে পারবে।

হিলি পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধের কারণে সারাদেশের ন্যায় হিলিও প্রায় স্তব্ধ। এমন অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দিনাজপুর ৬ আসনের সাংসদ শিবলী সাদিক আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন হিলিতে দিনমজুরদের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমরা ইতোমধ্যেই ৩ হাজার ৩শ জনের মাঝে চাল, আলু লবণসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।

তিনি জানান, সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ৮ মেট্রিকটন চাল এর সঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে ২৫ মেট্রিকটন চাল, সাড়ে ৮টন আলু ও ৩টন লবন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরনু জুট মিল ৭শ শ্রমিককে, বন্দরকর্তৃপক্ষ ৩শ শ্রমিককে, ছাত্রলীগ দুইশ’ জনকে, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৪শজনকে, হাকিমপুর ফাউন্ডেশন ৩শজন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। এরপরেও যদি কেউ সাহায্য না পেয়ে থাকেন ও বা তার নিকট পৌঁছাতে পারিনি তাহলে আমাকে ফোন করলে তার কাছে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারের কারও যদি সাহায্য প্রয়োজন হয় তাহলে গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকেও সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন।