টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন

লকডাউনকরোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইল জেলাকে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। লকডাউন চলাকালে টাঙ্গাইল জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশেষ চেকপোস্ট থাকবে। শহরে বা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গণপরিবহন ও কোনও ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কাউকে বাইরে যেতেও দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সব সীমান্ত এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে টাঙ্গাইল জেলা লকডাউনের আওতায় থাকবে। টাঙ্গাইল জেলা ও শহরে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানসহ সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সংবাদকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক এ ঘোষণার আওতায় পড়বে না। তবে মহাসড়ক দিয়ে কেউ শহরে বা উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবে না।’ 

গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণপাথালিয়া গ্রামের অধিবাসীরা মঙ্গলবার সকালে নিজ উদ্যোগে গ্রামটি লকডাউনের ঘোষণা দেন সভায় উপস্থিত ছিলেন–জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, লে. কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।